এফ এম ফজলু (মানিকগঞ্জ) সিংগাইর প্রতিনিধি:
সিংগাইর পৌরসভা গঠিত হয়েছে ২০০১ সালে প্রথম পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে ২০০২ সালে। পাশ্ববর্তী এলাকা তেঁতুলঝোড়া, হেমায়েতপুর, সাভার পানি প্রাকৃতিকভাবে ভালো পানি, মানিকগঞ্জে সাপ্লাই পানি ভালো। কিন্তু ভৌগোলিক ভাবে সিংগাইরের পানি খুবই খারাপ। সিংগাইর পৌরসভায় হোটেল ও বহু তলা ভবনের জন্য চরম জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক আশা করে পৌরসভার পানির সংযোগ নিয়েছিলো। বাসস্ট্যান্ডের ওসমান এর হোটেলে গিয়ে দেখা যায় আর্সেনিক আয়রনে পানির কল গুলো বন্ধ হয়ে আছে। মাটির পৃথিবী -৩ সহ সকল ভবনের বেহাল অবস্থা। পানির রিজার্ভ টাংকিতে আয়রন জমে থাকে শুধু তাই নয় বিল্ডিং এর উপরে চিলাকোঠার টাংকিতেও আয়রন জমে থাকে। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করতে দেখা যায় অনেককে।
এ পানি দিয়েও সব কাজ করা যায় না খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় এক দিকে অর্থ ব্যয় অপর দিকে অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। আবার পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের আতাউর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের রংএর বাজারের মোহাম্মদ আলী কসাই, তেরো ঘর পাড়ার আঃ কাদেরসহ ৫/৬ বাড়িতে ইদানীং লক্ষ টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। এর মধ্যেও আবার সম্পুর্ন বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা সরকারি কোয়াটার সংলগ্ন মাটির পৃথিবী -৩ ও নুরুল আমিন ভুল করে পৌরসভার সংযোগ নিয়ে পরে অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। অগভীরে ভালো পানি পাওয়া যায় আবার শক্তিশালী মোটর ব্যাবহার করা যায় না, ছোট মোটর লাগাতে হয়, আবার ছোট মোটরে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন করা যায় না এই পানির অভাবে আবার অনেকে সাভারসহ অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস করতে
দেখা যায়।
পৌরবাসীর বড় জ্বালা, বর্তমান বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার সিংগাইর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল হতে বহু নলকূপ স্থাপন করে, টাংকি ও মোটর পর্যন্ত বিনা মূল্যে বিতরণ করছে কিন্তু পৌরবাসী এ সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। এ সকল দুঃখ দূর্দশার অবসান ঘটিয়ে গত কাল আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশুদ্ধ পানির পাম্প উদ্বোধন করেন ২ মাস ২ দিন বয়সের মেয়র আবু নাঈম মো.বাশার। তাঁর এ উদ্বোধন বার্তায় এখন স্বস্তি ফিরিয়ে এসেছে নগরবাসিদের মধ্যে। অনেকে টাংকি পুনঃ রায় পরিষ্কার শুরু করেছে।
নবাগত মেয়ের এর আকস্মিক আবির্ভাবের শুভ বার্তায় অনেকে অসন্তুষ্টি থাকিলেও এখন মেয়র এর প্রতি সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে। বিজয়ের দারপ্রান্তে পৌঁছিয়েও বিতর্কিত পরাজয়ের ফল নিয়ে ঘরে বসে রিপন আক্তার জানায় আমি পর পর দুবার পরাজয়ের কারণ হয়তো বর্তমান মেয়র এর আর্শীবাদ ছিলো না। এ নির্বাচনে ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফল সাথে সাথে পেলেও ২ নং ওয়ার্ডে ভোট গননার নামে এজেন্ট প্রার্থী বাহির করে দিয়ে এক ঘন্টা পরে ফলাফল মৌখিক ঘোষণা দিয়েছিলো লিখিতভাবে দেয়নি, রিপন আক্তার আরও জানায় আমার রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের ভোটও কৌশলে জোর করে প্রতিদ্বন্দ্বীর মার্কায় প্রয়োগ করে নিয়েছে এ সকল পাহাড় সমান দুঃখও নিরসন হয়েছে সাভার বসবাসের প্রয়োজনীতাও শেষ হয়েছে।
এহেন সফলতায় শুভ কামনা করে বলে মেয়র এর কার্য কাল দীর্ঘ দিন হউক। পৌর সচিব তায়েব আলী গতকাল এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন মেয়র স্যার
পৌরসভার বাজেট সংকটে পৌরসভাকে ৮ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে পানির পাম্প উদ্বোধন করেছেন। মেয়র উপ প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছে যদিও এই কর্মকর্তাগণই দূষিত আয়রন ও আর্সেনিক পানি সাপ্লাই করার সময় ছিলো।
মেয়র সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান খান হান্নানকে সহোযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান আরও ধন্যবাদ জানান জমি দাতা মহর আলীকে।
৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অনুষ্ঠানের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন সহ সকলে মেয়র এর কতক দৃষ্টিনন্দন কাজের সাফল্যর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বক্তব্য রাখেন। মেয়র পৌরসভার সমস্যাগুলো ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি করেছেন।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে পর্যায়ক্রমে সে কাজ শুরুর অংশ বিশেষ বিশুদ্ধ পানির ব্যাস্থা করেছেন। মেয়র জানান রাস্তা ঘাট কোথাও সামান্য ক্ষতিসাধন হলে তা দ্রুত মেরামত করলে রাস্তার বড় ক্ষতি হতে রক্ষা করা যাবে। এলজিআরডি ও সড়ক ভবনের মতো টেন্ডারের অপেক্ষা করতে হবে না গত কাল দলীয় নেতাকর্মী দাওয়াত না করে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে উদ্বোধন এর কাজ সম্পন্ন করেছেন নবাগত মেয়র আবু নাঈম মো.বাশার।