সিগারেট বাকি না দেওয়ায় এক দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
তবে ছাত্রলীগ বলছে, ছাত্রলীগ কর্মীদের দিকে তেড়ে এসেছিল ওই দোকানি। এতে ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের ক্যাম্পাস ফুড কর্নারের মালিক শাহ আলম। আর অভিযুক্ত শেখ সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি একই বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে। মারধরের সময় সিয়ামের সঙ্গে আরও তিনজন ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
দোকানি শাহ আলমের অভিযোগ, সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার দোকানের সামনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশুসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের এক কর্মী আলমের দোকানে বাকিতে সিগারেট চাইলে তিনি দিতে অসম্মতি জানায়। এতে ওই কর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের চার কর্মী এসে তাকে দোকানের ভেতর নিয়ে যায়।
শাহ আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিশু ভাইকে চিনিস উল্লেখ করেই আমাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। কেউ যাতে না দেখতে পারে তাই দোকানের গ্লাস টেনে দেয়।’
পরে মারধরের বিষয়টি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুকে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ সিয়াম বলেন, ‘তার সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি আর ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল আর কিছু না। দোকানে আপনি খাবেন, আগে খান? না আগে টাকা দেন? আমার প্রশ্নের উত্তর টা আগে দেন।’
কিন্তু আপনারা তার ধাক্কাধাক্কি করতে গেলেন কেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তার ব্যবহার টা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। আমি ছাত্রলীগ হিসেবে না, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করার লজিক তারা রাখে না।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশু বলেন, ‘আমি তার দোকানে ওভাবে বসিই না ঠিকমতো। সে সময় মহানগর ছাত্রলীগের এক বড়ভাই এসেছিল, উনি আমাকে ডাকলে সেখানে গেলাম। একটা ছোটভাইকে পাঠালাম চা দিতে বলতে। তখন আলম বলছে, আগে টাকা দিয়ে জিনিস নিতে হবে। আমি শুধু ওকে এসে বিলটা নিয়ে যেতে বলেছি। সেখানে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। কিন্তু এটা বলি নি যে, মিশু ভাইকে চিনিস?’
এদিকে সাধারণ সম্পাদক রুনু বলেন, ‘ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি ও সভাপতি গিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ঠিক করে দিয়েছি।’