পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়ক সাইফ হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশ। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬০ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাবে খেলতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি করোনার কারণে পণ্ড হয়। তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৭ রানে আউট হন প্রিটোরিয়াস। আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককলাম খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। রাকিবুল হাসানের বলে আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪০ রান। এরপর কিছুক্ষণ পরপর উইকেট পড়তে থাকে।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে কিছুটা সহায়তা পায় দল ৬০ রানের জুটিতে দুইশ স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ডের রান। এরপর প্রায় একাই খেলেন টাকার। ৩৫ বলে ফিফটি পাওয়া এই কিপার-ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে।
৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইমার্জিং দলের সেরা বোলার মুকিদুল ইসলাম।
২৬১ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে সাইফ হাসান ছাড়া ওপরে ও মাঝখানে আর কেউ রান পাননি। আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম করেন ২৮ বলে ১৭ রান। মাহমুদুল হাসান হৃদয় ১৬ আর ইয়াসির আলী ১৩ রান করে আউট হন।
এরপর সাইফ ও হৃদয় দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টানেন দলকে। ৮৫ বলে দুই জনে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ৯৩ রান থেকে সাইফ পুল করে চার হাঁকানোর পরের বল কাভার ড্রাইভে ওড়ান ছক্কায়, সেঞ্চুরি হয় ১০৮ বলে। এরপর টিকেননি বেশিক্ষণ। ডেলানিকে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে শেষ হয় তার পথচলা। ১২৫ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২০ রান করেন সাইফ।
সাইফ একা অনেকদুর এগিয়ে দিলেও শেষ দিকে গিয়ে হিসেব কঠিন হয়ে পড়ে। সাইফ হাসান যখন ৬৫ বল আগে আউট হন, তখনো জয় থেকে ঠিক ৬৬ রান দুরে স্বাগতিকরা। ঠিক সেই জায়গায় শক্ত হাতে হাল ধরেন দুই তরুণ তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম পাটোয়ারি। তারা পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রান তুলে দলকে জয় এনে দেন।
শামিম ২৫ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী তৌহিদ হৃদয় খেলেন ৪৪ বলে ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন ইনিংস।