টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ইংল্যান্ড-ভারত মধ্যকার ম্যাচটির মোড় ঘুরেছে ক্ষণে ক্ষণে। ম্যাচটিতে কে জিতবে তা বলা যাচ্ছিল শেষ পর্যন্ত। অবশেষে চরম প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই ম্যাচে ৬ রানের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ডের লেজেন্ডরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে ইংলিশরা। জবাবে ১৮২ রানে থামে ভারত লেজেন্ডসরা।
দারুণ জমে উঠেছে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ। এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় ইংল্যান্ডের। ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান গড়েন কেভিন পিটারসন ও ফিল মাস্টার্ড। ১৪ রানে মাস্টার্ড আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে বড় ড্যারেন ম্যাডিকে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বড় করতে থাকেন পিটারসন। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৮২ রানের জুটি।
ম্যাডি ২৭ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর কেউই পিটারসনের যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। এরপরও একাই লড়ে যান তিনি। মাত্র ৩৭ বল খেলে ৫ ছয় এবং ৬ চারের মারে খেলেছেন ৭৫ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। এছাড়া যথাক্রমে ১৫ রান করে করেন ক্রিস স্কোফিল্ড ও গ্যাভিন হ্যামিল্টন। আর ৪ বল খেলে দ্রুত ১২ রান করেন ক্রিস ট্রেমলেট।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন উইসুফ পাঠান। আর দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ইরফান পাঠান ও মুনাফ প্যাটেল।
১৮৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। মাত্র ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে তারা। এরপর কিছুক্ষণ ক্রিজে খুঁটি গাড়েন যুবরাজ সিং। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনিও। ২১ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন যুবরাজ। ৬৬ রানে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি। কিন্তু সপ্তম উইকেট পার্টনারশিপে ইরফান পাঠান এবং মানপ্রিত গনি মিলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। দুজন মিলে মাত্র ২৬ বলে গড়েন ৬৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
ইরফান পাঠান ৩৪ বলে ৬১ এবং গনি ১৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।